উত্তর : ন্যাস্টিক চলন বিভিন্ন প্রকারের হয় । যেমন — ( ১ ) ফোটোন্যাস্টিক ( ২ ) থার্মোন্যাস্টিক ( ৩ ) সিসমেন্যাস্টিক ( ৪ ) কেমােন্যাস্টিক ও ( ৫ ) নিটিন্যাস্টিক চলন । প্রধান পাঁচপ্রকার ন্যাস্টিক চলন সম্পর্কে নীচে আলােচনা করা হল ।
( ১ ) ফোটোন্যাস্টিক চলন : আলােকের তীব্রতার হ্রাস বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে উদ্ভিদ - অঙ্গের যে বক্ৰচলন হয় , তাকে ফোটোন্যাস্টি বা ফোটোন্যাস্টিক চলন বলে । যেমন — সূর্যমুখী ফুল দিনের বেলায় । আলাের তীব্রতার পরিপ্রেক্ষিতে দিক পরিবর্তন করে । আবার , বেল ফুল সূর্যালােকে বুজে যায় এবং রাতে ফোটে ।
( ২ ) থার্মোন্যাস্টিকচলন : তাপমাত্রার তীব্রতার ওপর নির্ভর করে উদ্ভিদ অঙ্গের যে বক্ৰচলন হয়, তাকে থার্মোন্যাস্টি বা থার্মোন্যাস্টিক চলন বলে । যেমন —টিউলিপ ফুল স্বাভাবিক উষ্ণতায় ফোটে , কিন্তু উষ্ণতা হ্রাস পেলে ফুলের পাপড়ি বন্ধ হয়ে যায় ।
( ৩ ) সিসমেন্যাস্টিক চলন : স্পর্শ, কম্পন , ঘর্ষণ, আঘাত প্রভৃতির মতাে বিভিন্ন উদ্দীপকের তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ -অঙ্গের , বক্ৰচলনকে সিসমেন্যাস্টি বা সিসমেন্যাস্টিক চলন বলে । যেমন— লজ্জাবতীর পাতার পত্রকগুলি আলতােভাবে স্পর্শ করলে তা বন্ধ হয়ে যায় এবং স্পর্শ জোরালাে হলে সমগ্র পাতা নুয়ে পড়ে । আবার , স্পর্শ সরিয়ে নিলে লজ্জাবতীর পত্ৰক খুলে যায় ।
( ৪ ) কেমােন্যাস্টিক চলন : রাসায়নিক পদার্থের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে উদ্ভিদ -অঙ্গের যে বক্ৰচলন সম্পন্ন হয় , তাকে কেমােন্যাস্টি বা কেমােন্যাস্টিক চলন বলে । যেমন ইথার , ক্লোরােফর্ম প্রভৃতি রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে উদ্ভিদের কচি আকর্ষ বেঁকে যায় । সূর্যশিশিরের পত্রফলকের ওপর পতঙ্গ বসলে কর্ষিকাগুলি বেঁকে গিয়ে পতঙ্গকে ঘিরে ফেলে ।