উত্তর : প্লাস্টিক, পলিথিন , রাসায়নিক সার, কীটনাশক , আগাছানাশক , দৈনন্দিন আবর্জনা , ব্যাকটেরিয়া, প্রােটোজোয়া ইত্যাদি দূষক মাটিতে মিশে ভূপৃষ্ঠের ওপরে বিন্যস্ত মাটির স্তরের যে ভৌত , রাসায়নিক ও জৈব বৈশিষ্ট্যের অবাঞ্ছিত ও ক্ষতিকর পরিবর্তন বা ক্ষয়সাধিত হয়, তাকে মৃত্তিকা দূষণ বলে ।
[ ] মৃত্তিকা দূষণের কারণ : বিভিন্ন কারণে মৃত্তিকা দূষণ ঘটে থাকে । এখানে মৃত্তিকা দূষণের তিনটি কারণ আলােচনা করা হল ।
( ১ ) জীবাণু সংক্রমণ : পৌর বর্জ্যের সঠিক ট্রিটমেন্ট না হলে তা মৃত্তিকা দূষণ ঘটায় । তা ছাড়াও হাসপাতালের পরিত্যক্ত বর্জ্য কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য, পশুপালন ক্ষেত্রের বর্জ্যতে অবস্থিত জীবাণু সরাসরি অথবা মশা , মাছি, ইঁদুর বাহিত হয়ে মানবদেহে রােগ সৃষ্টি করে ।
( ২ ) রাসায়নিক সার কীটনাশক প্রয়ােগ : অত্যধিক ফলন পাওয়ার জন্য কৃষিজমিতে রাসায়নিক সার , কীটনাশক , আগাছানাশক ইত্যাদি প্রয়ােগ করা হয় । এর ফলে মাটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন উপকারী জীব , যেমন — কেঁচো ও নাইট্রোজেন সংশ্লেষকারী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায় । ফলে মাটির স্বাভাবিক উর্বরাশক্তি নষ্ট হয় এবং কীটনাশকগুলি মাটিতে জমে মাটির অম্লতা বৃদ্ধি পায় এবং মাটি ক্রমে বন্ধ্যা হয়ে যায় ।
( ৩ ) অন্যান্য : বিভিন্ন শিল্প থেকে নির্গত নানা রকম অশ্লঘটিত বর্জ্য পদার্থ মাটিতে ফেলার ফলে মাটির অম্লতা বৃদ্ধি পায় , যার ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায় । কৃষিক্ষেত্রে অতিরিক্ত হারে জলসেচের ফলে মাটিতে লবণাক্ততার সৃষ্টি হয় ও মাটির উর্বরতা হ্রাস পায় ।