উত্তর : ইউক্যারিওটিক কোশের নিউক্লিয়াসে অবস্থিত DNA অণু ও প্রােটিন দ্বারা গঠিত সূত্রাকার বা দণ্ডাকার আত্মপ্রজননশীল যে সজীব সংগঠন জীবের যাবতীয় বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক , বাহক ও নিয়ন্ত্রকরুপে কাজ করে তাকে ক্রোমােজোম বলে ।
[ ] ক্রোমােজোম , DNA ও জিনের আন্তঃসম্পর্ক : কোশের নিউক্লিয়াসের কতকগুলি সূক্ষ্ম সুতাের মতাে জালকাকার গঠন দেখা যায় । এগুলি হল প্যাচানাে সিঁড়ির মতাে দ্বিতন্ত্রী গঠন যারা পরস্পরকে
জড়িয়ে থাকে । এই গঠনগুলি হল DNA যা একটি বৃহৎ জৈব অণু । নিউক্লিয়াসে তারা সম্পূর্ণ কুণ্ডলীকৃত অবস্থায় থাকে । কোশ যখন বিভাজিত হয় না, তখন আংশিক উন্মুক্ত অবস্থায় বিন্যস্ত DNA- কে নিউক্লীয় জালিকা বা ক্রোমাটিন জালিকা বলে । কোশ বিভাজনের সময় DNA কুণ্ডলিত হয় । DNA তন্ত্রী বিভিন্ন প্রােটিনকে দৃঢ়ভাবে পাকিয়ে লুপ তৈরি করে ঘন কুণ্ডলী গঠন করে । এই কুণ্ডীলকৃত গঠনকে ক্রোমােজোম বল । অর্থাৎ, ক্রোমাটিন জালিকা ও ক্রোমােজোম হল একই DNA -এর যথাক্রমে স্বল্প ও অধিক কুণ্ডলীকৃত অবস্থা । আবার , ক্রোমােজোমে যে DNA থাকে , তার নির্দিষ্ট অংশ নির্দিষ্ট প্রােটিন সংশ্লেষের সংকেত বহন করে । DNA- এর এই এক -একটি অংশই হল জিন , যা জীবের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য বহন করে ।