উত্তর: প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনায় পরিভাষার ব্যাবহার গুরুত্বপূর্ন । যথার্থ পরিভাষা ভাষা কে সর্বাঙ্গ সুন্দর করে । পরিভাষা ছাড়া কোনো রচনায় বিষয়ের বর্ণনায় বারবার একই কথা লিখে আলোচনা দীর্ঘায়িত করতে হয় । অবান্তর বর্ননা পাঠক মনে অসুবিধা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ।
[ ] অনেক লেখকের মতে , পারিভাষিক শব্দ কম ব্যাবহার করে বা সম্পূর্ন বাদ দিয়ে রচনাকে সহজতর করা যায় । কিন্তু ব্যাপারটা তা নয় , পরিভাষা বর্জন কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্ভব হলেও সর্বত্র তা অনুচিত । কারণ , “ অমেরুদণ্ডী ” বোঝাতে “ যেসব জন্তুর শিরদাঁড়া নেই ” লেখা গেলেও “ অলোকতরঙ্গ ” বোঝাতে “ আলোর কাপন বা নাচন ” লিখলে ব্যাপারটা কিছু মাত্র সহজ হয় না । তাই যথার্থ পরিভাষার ব্যাবহারেই পাঠকের অসুবিধা দূর করা সম্ভব । পরিভাষা লেখার ভাষা কে যেমন সংক্ষিপ্ত করে , তেমনই অর্থকে সুনিদিষ্ট করে । সুতরাং পরিভাষা বা অপরিচিত পরিভাষার সঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা ও ইংরেজী নাম দেওয়া চলতে পারে । পরবর্তীকালে বিষয়টি পরিচিত হয়ে যাওয়ার পর শুধু বাংলা পরিভাষাটি দিলেই কাজ চলবে ।