সৈয়দ আলাওল রচিত “ পদ্মাবতী ” কাব্যের ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক পরিপ্রেক্ষিত আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর

মাধ্যমিক বাংলা madhyamik Bangla সৈয়দ আলাওল রচিত পদ্মাবতী কাব্যের ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক পরিপ্রেক্ষিত আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর podmaboti kabber oitihashik o sahittik poripekhito alochona koro



উত্তর : মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি সৈয়দ আলাওলের “ পদ্মাবতী ” । এই কাব্যটি “ হিন্দি অবধি ” ভাষার কবি মালিক মহম্মদ জায়সী রচিত “ পদুমাবৎ ” কাব্যের ভাবানুবাদ । আলাওল তাঁর কাব্য কে অবলম্বন করে বাংলা ভাষায় পয়ার ত্রিপদী ছন্দে “ পদ্মাবতী ” কাব্য রচনা করেন । “ পদ্মাবতী ” মৌলিক কাব্য না হলেও আলাওলের লেখনীর গুনে মৌলিকত্ব লাভ করেছে । এর কাহিনী রাজপুত ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত । তাই হিন্দু সমাজ ও জীবনের গল্পই এতে প্রধান্য লাভ করেছে । মহম্মদ জায়সীর “ পদুমাবৎ ” রচনার প্রায় একশো বছর পর কবি আলাওল আরাকানে “ পদ্মাবতী ” রচনা করেন । আরাকানে মগরাজা থদোমিন্তার রাজত্বকালে সৈয়দ আলাওল নিজের প্রতিভার স্ফুরণ ঘটিয়েছেন । রাজা থদোমিন্তার মৃত্যুর পর তাঁর এক পুত্র ও এক কন্যা যুগ্মভাবে শাসন কার্য চালাতে থাকেন । এই কন্যার প্রধান অমার্ত্য ছিলেন মাগণ ঠাকুর , যাঁর পৃষ্টপোষকতায় মূলত “ পদ্মাবতী ” কাব্য রচিত হয় । আলাওলের প্রতিভায় মুগ্ধ মাগন ঠাকুরের নির্দেশেই তিনি “ পদ্মাবতী ” রচনায় উদ্যোগী হন । তবে জায়সীর কাব্য প্রধানত আধ্যাত্মতত্ত্বের ব্যাখ্যা হলেও আলাওল মোটেই সে পথে হাঁটেননি । বরং তিনি এক অসামান্য মানবীয় প্রেম কাব্য রচনা করেছেন । মধ্য যুগের ধর্মভাব ভাড়াক্রান্ত কাব্যিক পরিমন্ডলে দাঁড়িয়ে আলাওল মানবিক প্রেমের জয়গান গেয়েছেন । এখানেই তাঁর অনন্যতা ও স্বাতন্ত্র্য ।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন