নদেরচাঁদ চরিত্রটি আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর

 

মাধ্যমিক বাংলা madhyamik Bangla নদেরচাঁদ চরিত্রটি আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর noderchand choritroti alochona koro nodir bidroho questions answer


উত্তর: “ নদীর বিদ্রোহ ” গল্পটি নদেরচাঁদের চাওয়া পাওয়া , আশাআকাঙ্খাকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে । গল্পের নিয়ন্ত্রণ বা কেন্দ্রীয় চরিত্র যে সে এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।


নদীর প্রতি তীব্র আকর্ষণ : নদেরচাঁদের চরিত্রের যে দিকটি সবচেয়ে প্রকট হয়ে উঠে তা হল নদীর প্রতি তাঁর তীব্র আকর্ষণ । নদীর ধারে বড়ো হয়ে ওঠার দরুন নদীর প্রতি তাঁর টান থাকা স্বাভাবিক । তার গ্রামের ক্ষীণকায়া নদীটিকে সে ভালোবাসত অসুস্থ আত্মীয়ার মতোই । তার কর্মস্থলের কাছের নদীটিকে প্রতিদিন না দেখে সে থাকতে পারত না । নদীর প্রতি তার এই টান যে অস্বাভাবিক , তা বুঝলেও এই পাগলামিটা সে উপভোগ করত । 


আবেগপ্রবণতা ও অস্থিরতা : নদেরচাঁদের নদীর প্রতি ভালোবাসা , বর্ষায় স্ত্রীর বিরহে কাতর হয়ে ওঠা এগুলি আবেগপ্রবণতার লক্ষণ । আবার বিরহে কাতর হয়ে স্ত্রীকে লেখা চিঠি খেলার ছলে নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দেয় নদেরচাঁদ । এ থেকে বোঝা যায় , তার মধ্যে কাজ করে চলে এক অস্থিরতা । তাই অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে পাঁচদিন নদীর কাছে যেতে না পেরে ছটফট করে সে ।


সংবেদনশীলতা : নদেরচাঁদ নদীর ভাষা বুঝত । নদীর ভয়ংকরী রূপ দেখে সে বুঝতে পেরেছিল , সভ্যতার নামে প্রকৃতিকে পদানত করলে শেষ পর্যন্ত তা ধ্বংসই ডেকে আনবে । তার এই উপলদ্ধি সংবেদনশীলতারই পরিচয় ।


দায়িত্ববোধ : নদেরচাঁদ যতই আবেগপ্রবণ হোক , নদীর প্রতি তার যতই টান থাকুক , তা কিন্তু কখনোই তার কর্তব্যপালনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না । স্টেশন মাস্টার হিসেবে সে তার দায়িত্ব যথাথ ভাবেই পালন করে । 


সব মিলিয়ে নদেরচাঁদ একটি ব্যাতিক্রমী চরিত্র হিসেবেই উপস্থাপিত হয়েছে ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন