উত্তর : মধুসূদনের রাবন এক ভাগ্যবিড়ম্বিত নায়ক । পাঠ্য আমরা তাঁকে পাই একজন স্নেহশীল পিতা , দৈবাহত রাজা , দায়িত্ববান শাসক , ভ্রাতৃপ্রেমী অগ্রজ , সমরবিশেষজ্ঞ এবং ধর্মভীরু হিসেবে ।
স্নেহশীল পিতা : বীরবাহুর মৃত্যুতে শোক এবং ইন্দ্রজিৎ কে যুদ্ধে পাঠাতে না চাওয়া লঙ্কেশ্বর রাবণের অকৃত্রিম পুত্রস্নেহের পরিচায়ক ।
দৈবাহত রাজা : রাবণের রণসজ্জার মধ্যে তাঁর তেজোদৃপ্ত রাজসিক ভাব যথেষ্ট প্রকাশিত হলেও এই রাজাকেই আমরা নিয়তির কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করতে দেখি । তিনি “ বিধি বাম ” বলে ইন্দ্রজিতের কাছে অসহায়তা প্রকাশ করেন ।
ধর্মভীরু : ইন্দ্রজিৎ কে সেনাপতি পদে অভিষিক্ত করার সময় রাবন শাস্ত্রবিধি মেনেই তা করেন । এমনকি যুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি ইন্দ্রজিৎ কে ইষ্টদেবতার পূজা করার উপদেশ দেন । এ তাঁর ধর্মভীরুতারই প্রকাশ ।
দায়িত্ববান শাসক : কুম্ভকর্ণ ও বীরবাহুর মৃত্যুতে লঙ্কাপুরী যখন বীরশূন্য তখন দেশকে বাঁচাতে রাজা রাবন স্বয়ং যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নেয় । তাঁর এই উদ্যোগ রাজা হিসেবে তাঁর দায়িত্বকেই প্রকট করে ।
ভ্রাতৃপ্রেমী অগ্রজ : দেশের সুরক্ষার স্বার্থে রাবন কুম্ভকর্নকে অকালে জাগিয়ে যুদ্ধে পাঠান এবং যুদ্ধে কুম্ভকর্ণের মৃত্যু হয় । এ জন্য তিনি শুধু শোকগ্রস্থই হন না বরং নিজেকে দায়ীও মনে করেন ।
সমরবিশেষজ্ঞ : লংকেশ্বর দেশের স্বার্থে যোগ্য বীর ইন্দ্রজিৎ কে সেনাপতি পদে বরণ করে নেন । তবে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ইন্দ্রজিৎ কে রাতে যুদ্ধে যেতে নিষেধ করেন ।