“ পথের দাবী ” নামকরন কতদূর সংগত আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর

মাধ্যমিক বাংলা madhyamik Bangla পথের দাবী নামকরন কতদূর সংগত আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর pother dabi namkoron kotodur songoto alochona koro questions answer

 

উত্তর: নামকরন যে কোনো সাহিত্য সৃষ্টির পক্ষেই এক অপরিহার্য অঙ্গ । নামকরন পাঠককে বিষয়বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট করে , বিষয়বস্তু সম্পর্কে দিশা দেখায় । এক্ষেত্রে সংকলোকেরা উপন্যাসের নামানুসারে সংকলিত অংশটিরও নামকরন করেছেন ‘ পথের দাবী ’ । ‘ পথের দাবী ’ উপন্যাসের মতো একটি কালজয়ী রাজনৈতিক উপন্যাসের , নির্বাচিত অংশ বিশেষের ক্ষেত্রেও নামটি অক্ষুন্ন রাখাকেই যুক্তিসংগত বলে তাঁরা মনে করেছেন । বিশ শতকের তিনের দশকে “ বঙ্গবাণী ” পত্রিকায় প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই এই উপন্যাস যেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করে , তেমনই ইংরেজ সরকার এই বই বাজেয়াপ্ত করে ।  সাহিত্যিক শ্রীঅমিয়ভুষণ মজুমদারের স্মৃতিচারনা থেকে জানা যায় যে , এই উপন্যাস বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর , তাঁরা হাতে লিখে এই বইয়ের অনুলিপি তৈরী করেছিলেন । অর্থাৎ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা বাঙালীর জাতীয় জীবনের সঙ্গে “ পথের দাবী ” উপন্যাসের এক ঐতিহাসিক যোগ ছিল । বাঙালীর পরাধীনতার গ্লানি , দুর্দশা , পীড়ন এবং সর্বোপরি মুক্তির জন্য প্রাণপণ প্রচেষ্টার ছবি এই উপন্যাসে বানীরুপ পেয়েছিল । এখানে “ পথের দাবী ” র পথ বিপ্লবের পথ , স্বাধীনতা অর্জনের পথ এবং দেশমাতৃকার মুক্তির পথ । মানুষের সেই সহজাত দাবী পূর্ণ করতেই সব্যসাচী এবং তাঁর দলবলের আবির্ভাব । তাদের কর্মকান্ডের এবং তৎকালীন ভারতের এক সংক্ষিপ্ত অংশ ফুটে উঠলেও , তা “ পথের দাবী ” উপন্যাসেরই ক্ষুদ্র প্রতিরূপ । সুতরাং সংকলকদের সিদ্ধান্ত যথার্থ বলে আমরা মনে করি । 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন