উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি মতি নন্দীর “ কোনি ” উপন্যাস থেকে গৃহীত । বস্তির কোনির সাঁতার কাটার শুরু গঙ্গায় । সেখান থেকে বাংলা সাঁতার দলে জায়গা করে নেওয়ার পথটা তাঁর জন্য নেহাত সহজ ছিল না । দারিদ্র্যে ও অশিক্ষার কারণে তাকে পদে পদে হেনস্থা হতে হয়েছে তথাকথিত শিক্ষিত , সভ্য সমাজের কাছে । বিশেষত , ক্ষিতিশ হিংহের ছাত্রী হওয়ার দরুন বারবার ক্লাবের সংকীর্ণ রাজনীতি , দলাদলি ও চক্রান্তের শিকার হয়েছে কোনি । কিন্তু তাঁর প্রশিক্ষক প্রতিনিয়ত উৎসাহ জুগিয়েছেন তাকে ।
[ ] কোনির বাংলা দলে সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে অবশ্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করেন বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের প্রশিক্ষক পূর্ণবেন্দু বিশ্বাস । কোনির প্রধান প্রতিদ্বন্ধী হিয়া মিত্রের প্রশিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও কোনির বিরুদ্ধে ঘটে চলা হীন চক্রান্তের প্রতিবাদ করেন তিনি । সংকীর্ণ দলাদলির ঊর্ধেব উঠে তিনি বলেন “ বেঙ্গলের স্বার্থেই কনকচাঁপা পাল কে টিমে রাখতে হবে ।” তাঁর অভিজ্ঞ চোখ কোনির প্রতিভাকে চিনে নিতে ভুল করেনি । তাই তিনি বুঝেছিলেন , মহারষ্ট্রের রমা যোশিকে ফ্রি স্টাইলে হারাতে হলে কিংবা স্প্রিন্ট ইভেন্টে জিততে গেলে বাংলা দলে কোনিকে রাখতেই হবে । এমনকি কোনিকে দলে না নিলে প্রণবেন্দু নিজের ক্লাবের সাঁতারুদের নাম প্রত্যাহার করার হুমকিও দেন । এভাবেই নিজের প্রতিভা ও অধ্যাবসায়ের পাশাপাশি প্রণবেন্দু বিশ্বাসের ইতিবাচক ভূমিকায় বাংলা দলে জায়গা পায় কোনি ।