উত্তর: জুপিটারের সাঁতারুরা ক্ষিতিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছিল তা সত্য হলেও পিছনে কিন্তু ক্রীড়ারাজনীতির হাত ছিল যথেষ্টই । অভিযোগ গুলি হল
১। দক্ষ সাঁতারু শ্যামলের সময়কে আমেরিকার বারো বছরের মেয়েদের সময়ের সাথে তুলনা করে জুনিয়রদের কাছে তাকে অপমান করা ।
২। গোবিন্দের মতো ব্রেস্ট স্ট্রোক বেঙ্গল রেকর্ড হোল্ডার ও ন্যাশনালে প্রতিনিধিত্বকারিকে কান ধরে ক্লাব থেকে বের করে দেবার কথা বলা ।
৩। আর এক দক্ষ সাঁতারু অসুস্থ সুহাসের বাড়ী গিয়ে তাঁর বাবাকে যা তা বলা ।
৪। দুই মহিলা সাঁতারু অমিয়া ও বেলার পোশাক , চুলকাটা ইত্যাদি নিয়ে খিটখিট করা , তাদের জোর করে ব্যায়াম করানো ।
৫। সাঁতারুদের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস অর্জনে এবং তাঁদের মেজাজ মর্জি বুঝতে অক্ষমতা ।
৬। কোনো মেডেল জেতার ইতিহাস না থাকা ।
[ ] এইসব অভিযোগের জবাবে ক্ষিতিশ জানান পঁয়ত্রিশ বছর জুপিটারের সাথে যুক্ত থেকে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ক্লাবের গৌরব বৃদ্ধি । ক্লাবের গৌরব বাড়ায় যে খেলোয়াড়রা , তাঁদের পারফরমেন্সের উন্নতির জন্য তিনি প্রয়োজনে তাদের সাথে রুঢ ব্যাবহার করেন । সাঁতারে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেলেও ভারতের তথা বাংলার সাফল্য অনেক পিছিয়ে । শৃঙ্খলাপরায়ন , আদর্শবান ও দৃঢচেতা ক্ষিতিশ আসলে খেলোয়াড় জীবনে শৈথিল্য পছন্দ করতেন না ।