উত্তর: সাহিত্যে নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় । তাই গল্প , উপন্যাস , নাটক ইত্যাদি সাহিত্যে কর্মের নামকরণ সাহিত্যিকরা বেশ সুচারু রূপে করে থাকেন । নামকরণ বিষয়কেন্দ্রিক , চরিত্রকেন্দ্রিক কখনও বা ব্যঞ্জনাধর্মী হয়ে থাকে ।
[ ] গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন কৌতূহলপ্রিয় । তাই লেখকদের সম্পর্কে তার একটা কৌতূহল ছিল । সে মনে করতো লেখকরা বুঝি অন্য কোনো জগতের মানুষ । কিন্তু তার সদ্যবিবাহিত ছোটো মেসো একজন লেখক এ কথা শুনে তপন বেশ অবাক হয় । আরও অবাক হয় যখন সে দেখে তার লেখক মেসোর আচার আচরণ , হাব ভাব সবই তার বাবা , মামাদের মতো । এসব দেখে তাঁর “জ্ঞানচক্ষু ” খুলে যায় বুঝতে পারে । তপন বুঝতে পারে যে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয় । সুতরাং সেও গল্প লিখতে পারে । অনুপ্রাণিত তপন একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে । সেই গল্প নতুন মেসোর প্রশংসা ও আশ্বাস পেয়ে অবশেষে ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পায় । বাড়ীময় আনন্দের জোয়ার ওঠে । সকলের অনুরোধে তপন নিজের গল্প পড়তে গিয়ে দেখে গল্পের একটি লাইনও তার নয় । মেসো কলম চালানোয় তার লেখা স্বকীয়তা হারিয়েছে । আরও একবার জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় । সে ভাবে পরবর্তীকালে তার লেখা কাউকে ছাপতে দিলে সে নিজের হাতেই দেবে । তপনের এই বাস্তববোধ বা অন্তদৃষ্টির জাগরণকেই লেখক ব্যঞ্জনাথে “ জ্ঞানচক্ষু ” নামকরণ করেছেন যা যথাযথ ও সার্থক ।