জ্ঞানচক্ষু গল্পের নামকরণ কতখানি সার্থক হয়েছে তা আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর

মাধ্যমিক বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্পের নামকরণ কতখানি সার্থক হয়েছে তা আলোচনা করো প্রশ্নোত্তর madhyamik Bangla ganchokhu golper namkoron kotokhani sarthok hoyeche ta alochona koro



উত্তর: সাহিত্যে নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় । তাই গল্প , উপন্যাস , নাটক ইত্যাদি সাহিত্যে কর্মের নামকরণ সাহিত্যিকরা বেশ সুচারু রূপে করে থাকেন । নামকরণ বিষয়কেন্দ্রিক , চরিত্রকেন্দ্রিক কখনও বা ব্যঞ্জনাধর্মী হয়ে থাকে ।


[       ] গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন কৌতূহলপ্রিয় । তাই লেখকদের সম্পর্কে তার একটা কৌতূহল ছিল । সে মনে করতো লেখকরা বুঝি অন্য কোনো জগতের মানুষ । কিন্তু তার সদ্যবিবাহিত ছোটো মেসো একজন লেখক এ কথা শুনে তপন বেশ অবাক হয় । আরও অবাক হয় যখন সে দেখে তার লেখক মেসোর আচার আচরণ , হাব ভাব সবই তার বাবা , মামাদের মতো । এসব দেখে তাঁর “জ্ঞানচক্ষু ” খুলে যায় বুঝতে পারে । তপন বুঝতে পারে যে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয় । সুতরাং সেও গল্প লিখতে পারে । অনুপ্রাণিত তপন একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে । সেই গল্প নতুন মেসোর প্রশংসা ও আশ্বাস পেয়ে অবশেষে ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পায় । বাড়ীময় আনন্দের জোয়ার ওঠে । সকলের অনুরোধে তপন নিজের গল্প পড়তে গিয়ে দেখে গল্পের একটি লাইনও তার নয় । মেসো কলম চালানোয় তার লেখা স্বকীয়তা হারিয়েছে । আরও একবার জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় । সে ভাবে পরবর্তীকালে তার লেখা কাউকে ছাপতে দিলে সে নিজের হাতেই দেবে । তপনের এই বাস্তববোধ বা অন্তদৃষ্টির জাগরণকেই লেখক ব্যঞ্জনাথে “ জ্ঞানচক্ষু ” নামকরণ করেছেন যা যথাযথ ও সার্থক ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন