উত্তর: ছোটো গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত “ বহুরূপী ” গল্পে জগদীশবাবুর বাড়িতে আশ্রিত এক হিমালয়বাসী । সন্ন্যাসীর কথা জানা যায় পাড়ার কিছু যুবকের মুখ থেকে । বড়োলোক জগদীশবাবুর সন্ন্যাসী সাত দিন অবস্থান করেন । এই সন্ন্যাসী নাকি হিমালয়ের গুহাতে থাকেন । সারা বছরে একটি হরীতকী ছাড়া তিনি আর কিছু খান না । সন্ন্যাসীর বয়স নাকি হাজার বছরেরও বেশি । নিজের সম্পর্কে তাঁর উচ্চ ধারণা তাঁর ভিতরে এক ধরনের গৃহী সুলভ অহংবোধের জন্ম দিয়েছিল । তাই সাধারণ মানুষকে তাঁর পদধূলি নেওয়ারও অনুমতি তিনি দিতেন না । অথচ যে সন্ন্যাসী সর্বস্বত্যাগী , তিনি কাঠের খড়মে লাগানো সোনার বোল দেখে আপ্লুত হয়ে পা বাড়িয়ে দেন জগদীশবাবুর দিকে । আবার হিমালয়বাসী সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর দেওয়া একশো টাকা প্রনামীও তিনি প্রত্যাখ্যান করেননি , বরং মুচকি হাসির মধ্য দিয়ে তা গ্রহণ করে জগদীশবাবুকে বাধিত করেছেন । মোটের উপর , সন্ন্যাসীর আচরণ ও তাঁর সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যবলীর মধ্যে যে বৈপরীত্য ও অসংগতি খুঁজে পাওয়া যায় , তাঁর নিরিখে এ কথা স্পষ্ট যে তিনি প্রকৃত সন্ন্যাসী ছিলেন না ।